না না, রান্নার কথা বলছি না। ঝোলে-ডালে-অম্বল কখনও পাঁচফোড়নে, কখনও তেজপাতার সঙ্গে ফোড়ন দিতে, কখন শুধুই জিরা বাটা, কখনও আবার আদার সঙ্গে একসঙ্গে বাটা। রান্নায় জিরার ব্যবহার নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। শুধুই যে রান্নায় সুগন্ধের জন্য জিরা ব্যবহার হয়, তা কিন্তু নয়। স্বাস্থ্যের কথা ভেবেও আমরা রান্নায় জিরা দিই। স্পাইসি এই মশালা যে আপনার শরীর থেকে বাড়তি মেদ ঝরাতেও ওস্তাদ, সে খোঁজ কি রাখেন? হাতের কাছে ক্যালেন্ডার থাকলে, জাস্ট দিনটি দেখে নিয়ে গোল্লা পাকান।
.
- ধৈর্য ধরে ১৫টি দিন দেখুন। এর মধ্যে রোজ নিয়ম করে এক চামচ গোটা জিরা খেয়ে ফেলুন। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গোটা জিরা খুব দ্রুত শরীর থেকে ওজন ঝরাতে সক্ষম।
- চক্রদত্তের মতো জিরার গুড়া পুরনো গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ম্যালেরিয়া জ্বর সারে।
- এক চা চামচ জিরা গুড়া, ২ চা চামচ করলার রস মিশিয়ে নিয়ম করে খেলে শীতজ্বর সেরে যায়।
- পাকস্থলি বা মুত্রাশয়ে রক্ত বা পাথর জমলে নিয়মিত জিরা খেলে তা বেরিয়ে যায়।
- সিরকা বা ভিনেগারের সঙ্গে জিরা খেলে হেকসি ওঠা ও পাকস্থলির কৃমি বেরিয়ে যায়।
- জিরা খেলে কৌষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
- জিরা খেলে বীর্য ও স্তন্য দুধ বৃদ্ধি পায়।
- জিরা গুড়া করে ক্ষতস্থানে লাগালে ক্ষত তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
- জিরার রস নাকে টানলে নানা রোগ সেরে যায়।
- জিরার গুড়া পুরনো গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে সকাল ও রাতে ২১ দিন ধরে খেলে পুরনো জ্বর সেরে যায়।
- গরুর দুধের সঙ্গে জিরা সিদ্ধ করে সেই জিরা বেটে নিন। এরকম ভাবে বাটা জিরা চিনি মিশিয়ে খেলেও পুরনো জ্বর, জীর্ণ জ্বর সেরে যায় এবং শরীরের বল শক্তি বাড়ে।
- সমপরিমাণ জিরা ও ধনে গুড়া একটু চিনি মিশিয়ে খেলে অম্ব-পিত্তর জন্য খাওয়ার পর যে বুক জ্বালা করে তার উপশম হয়।
- জিরার গুড়া ও চিনি একটু ভাতের মাড়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে মেয়েদের শ্বেত প্রদোর ও রক্ত প্রদর রোগ কমে।
.
- গবেষকরা বলছেন, জিরার মধ্যে রয়েছে থাইমল ও অন্যান্য কিছু তেলের উপস্থিতি। যার কাজ হলো লালা নিঃসরণকারী গ্রন্থিকে উত্তেজিত করা। যার ফলে খাবার ভালো হজম হয়।
.
- জিরার গুণে পরিপাকতন্ত্র ভালো কাজ করে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, হজমের গন্ডগোল হলে, জিরা দিয়ে চা খেয়ে দেখতে পারেন। উপকার পাবেন।
-এক গেলাস পানিতে এক চামচ জিরা দিন। ভালো করে ফুটিয়ে নিন। পানির রং লালচে হয়ে এলে, গ্যাস বন্ধ করে, পাত্রটি চাপা দিয়ে রাখুন। একদম ঠান্ডা হওয়া অবধি অপেক্ষা করুন। এই জিরা চা দিনে তিন বার খেলে, হজমশক্তি বাড়বে। পেটে ব্যথা কমবে।
- জিরার মেডিক্যাল প্রোপার্টিস কিডনির পাথর প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে এবং কিডনির সমস্যা জনিত নানা রোগের সমস্যা সমাধান করে।
- যারা অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন জিরা তাদের জন্য মহৌষধ। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ১ কাপ জিরার চা পান করে নিন। পানিতে জিরা ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এর সাথে রাখুন কলা। ব্যস, দেখবেন খুব সহজেই ঘুম চলে আসবে।
- জিরার ভিটামিন সি ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি, ফ্লু, অ্যাজমা ইত্যাদি সমস্যার সমাধান করতে বিশেষভাবে কার্যকরী।
- প্রতিদিন জিরা খাওয়ার ফলে হজমের নানা সমস্যার সমাধান হয়। জিরার এনজাইম হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
- জিরা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও দেহের টক্সিন দূর করতে জিরার জুড়ি নেই।
- জিরার আয়রন দেহের মেটাবোলিজম সিস্টেম উন্নত করে এবং দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঠিক পরিচালনা নিশ্চিত করে।
- মেয়েদের মাসিকের সমস্যা দূর করতেও জিরা অনেক কার্যকরী। কারণে মাসিক চক্রকে জিরা স্টিমুলেট করে।
- জিরার অ্যান্টি-কারসিনোজেনিক উপাদান ক্যান্সারের কোষ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এবং প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সারের কোষ বাড়তে বাঁধা প্রদান করে।
- জিরা রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখতে বিশেষ সহায়তা করে। এতে করে ডায়বেটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- জিরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অর্থাৎ লোহিত রক্ত কণিকা বাড়ায়। এতে করে দূর হয় রক্তস্বল্পতার সমস্যা।
.
দুই: যদি দেখেন, উপরের দাওয়াই আপনার ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করছে না, তা হলে দ্বিতীয় উপায়ের আশ্রয় নিন। খাবারে জিরার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। দইয়ের সঙ্গেও জিরা খেতে পারেন। ৫ গ্রাম দুইতে এক চামচ জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়মিত খান। ওজন নিশ্চিত ভাবেই কমবে।
.
তিন: কয়েক চামচ মধু ও তিন গ্রাম জিরা গুঁড়ো এক গেলাস পানিতে ভালো করে মিশিয়ে নিন। নিয়মিত এই মিশ্রণটি খান। স্যুপ তৈরি করে, এক চামচ জিরাগুঁড়ো মিশিয়ে খেলেও ভালো কাজ দেবে।
.
চার: পাতিলেবু ও রসুনও ওজন ঝরাতে খুব ভালো দাওয়াই। গাজর ও অন্যান্য সবজি সেদ্ধ করে নিয়ে, রসুন কুচি ও লেবুর রস ঢেলে দিন। তাতে কিছুটা জিরার গুঁড়ো মেশান। রোজ রাতে খেয়ে, ম্যাজিক পরিবর্তন দেখুন। ১৫ দিনে পরেই বুঝতে পারবেন আপনার ওজন কমেছে।
.
- ধৈর্য ধরে ১৫টি দিন দেখুন। এর মধ্যে রোজ নিয়ম করে এক চামচ গোটা জিরা খেয়ে ফেলুন। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গোটা জিরা খুব দ্রুত শরীর থেকে ওজন ঝরাতে সক্ষম।
- চক্রদত্তের মতো জিরার গুড়া পুরনো গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ম্যালেরিয়া জ্বর সারে।
- এক চা চামচ জিরা গুড়া, ২ চা চামচ করলার রস মিশিয়ে নিয়ম করে খেলে শীতজ্বর সেরে যায়।
- পাকস্থলি বা মুত্রাশয়ে রক্ত বা পাথর জমলে নিয়মিত জিরা খেলে তা বেরিয়ে যায়।
- সিরকা বা ভিনেগারের সঙ্গে জিরা খেলে হেকসি ওঠা ও পাকস্থলির কৃমি বেরিয়ে যায়।
- জিরা খেলে কৌষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
- জিরা খেলে বীর্য ও স্তন্য দুধ বৃদ্ধি পায়।
- জিরা গুড়া করে ক্ষতস্থানে লাগালে ক্ষত তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
- জিরার রস নাকে টানলে নানা রোগ সেরে যায়।
- জিরার গুড়া পুরনো গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে সকাল ও রাতে ২১ দিন ধরে খেলে পুরনো জ্বর সেরে যায়।
- গরুর দুধের সঙ্গে জিরা সিদ্ধ করে সেই জিরা বেটে নিন। এরকম ভাবে বাটা জিরা চিনি মিশিয়ে খেলেও পুরনো জ্বর, জীর্ণ জ্বর সেরে যায় এবং শরীরের বল শক্তি বাড়ে।
- সমপরিমাণ জিরা ও ধনে গুড়া একটু চিনি মিশিয়ে খেলে অম্ব-পিত্তর জন্য খাওয়ার পর যে বুক জ্বালা করে তার উপশম হয়।
- জিরার গুড়া ও চিনি একটু ভাতের মাড়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে মেয়েদের শ্বেত প্রদোর ও রক্ত প্রদর রোগ কমে।
.
- গবেষকরা বলছেন, জিরার মধ্যে রয়েছে থাইমল ও অন্যান্য কিছু তেলের উপস্থিতি। যার কাজ হলো লালা নিঃসরণকারী গ্রন্থিকে উত্তেজিত করা। যার ফলে খাবার ভালো হজম হয়।
.
- জিরার গুণে পরিপাকতন্ত্র ভালো কাজ করে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, হজমের গন্ডগোল হলে, জিরা দিয়ে চা খেয়ে দেখতে পারেন। উপকার পাবেন।
-এক গেলাস পানিতে এক চামচ জিরা দিন। ভালো করে ফুটিয়ে নিন। পানির রং লালচে হয়ে এলে, গ্যাস বন্ধ করে, পাত্রটি চাপা দিয়ে রাখুন। একদম ঠান্ডা হওয়া অবধি অপেক্ষা করুন। এই জিরা চা দিনে তিন বার খেলে, হজমশক্তি বাড়বে। পেটে ব্যথা কমবে।
- জিরার মেডিক্যাল প্রোপার্টিস কিডনির পাথর প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে এবং কিডনির সমস্যা জনিত নানা রোগের সমস্যা সমাধান করে।
- যারা অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন জিরা তাদের জন্য মহৌষধ। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ১ কাপ জিরার চা পান করে নিন। পানিতে জিরা ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এর সাথে রাখুন কলা। ব্যস, দেখবেন খুব সহজেই ঘুম চলে আসবে।
- জিরার ভিটামিন সি ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি, ফ্লু, অ্যাজমা ইত্যাদি সমস্যার সমাধান করতে বিশেষভাবে কার্যকরী।
- প্রতিদিন জিরা খাওয়ার ফলে হজমের নানা সমস্যার সমাধান হয়। জিরার এনজাইম হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
- জিরা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও দেহের টক্সিন দূর করতে জিরার জুড়ি নেই।
- জিরার আয়রন দেহের মেটাবোলিজম সিস্টেম উন্নত করে এবং দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঠিক পরিচালনা নিশ্চিত করে।
- মেয়েদের মাসিকের সমস্যা দূর করতেও জিরা অনেক কার্যকরী। কারণে মাসিক চক্রকে জিরা স্টিমুলেট করে।
- জিরার অ্যান্টি-কারসিনোজেনিক উপাদান ক্যান্সারের কোষ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এবং প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সারের কোষ বাড়তে বাঁধা প্রদান করে।
- জিরা রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখতে বিশেষ সহায়তা করে। এতে করে ডায়বেটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- জিরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অর্থাৎ লোহিত রক্ত কণিকা বাড়ায়। এতে করে দূর হয় রক্তস্বল্পতার সমস্যা।
কী ভাবে জিরা খাবেন?
এক: একটা গেলাসে বড় চামচের দু-চামচ গোটা জিরা সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই পানি গরম করে, জিরা না ছেঁকে চায়ের মতো খান। মুখে গোট জিরা পড়লে, ফেলবেন না। চায়ের মতো কয়েক দিন পান করুন, দেখবেন ওজন কমছে।.
দুই: যদি দেখেন, উপরের দাওয়াই আপনার ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করছে না, তা হলে দ্বিতীয় উপায়ের আশ্রয় নিন। খাবারে জিরার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। দইয়ের সঙ্গেও জিরা খেতে পারেন। ৫ গ্রাম দুইতে এক চামচ জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়মিত খান। ওজন নিশ্চিত ভাবেই কমবে।
.
তিন: কয়েক চামচ মধু ও তিন গ্রাম জিরা গুঁড়ো এক গেলাস পানিতে ভালো করে মিশিয়ে নিন। নিয়মিত এই মিশ্রণটি খান। স্যুপ তৈরি করে, এক চামচ জিরাগুঁড়ো মিশিয়ে খেলেও ভালো কাজ দেবে।
.
চার: পাতিলেবু ও রসুনও ওজন ঝরাতে খুব ভালো দাওয়াই। গাজর ও অন্যান্য সবজি সেদ্ধ করে নিয়ে, রসুন কুচি ও লেবুর রস ঢেলে দিন। তাতে কিছুটা জিরার গুঁড়ো মেশান। রোজ রাতে খেয়ে, ম্যাজিক পরিবর্তন দেখুন। ১৫ দিনে পরেই বুঝতে পারবেন আপনার ওজন কমেছে।