রোগ প্রতিরোধ নিরাময়ের জন্য আদিকাল থেকে মানুষ মধু ব্যবহার কারে আসছে। এই বস্তুর মধ্যে রয়েছে অসাধারণ গুণ যা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত।
সাম্প্রতিক সময়ে বিজ্ঞানীরা বলছেন, মধু হচ্ছে প্রায় সব ধরনের রোগের মহাওষুধ, যা সব ধরনের রোগের জন্য ব্যবহার করা যায়। এমনকি মধু মিষ্টি হলেও ডায়বেটিস রোগীরা এটিকে ওষুধ হিসেবে নির্দিষ্ট পরিমাণ খেতে পারেন।
উচ্চ ঔষধি গুণ সম্পন্ন তরল ‘মধুর’ নানা গুণের কথা প্রায় সকলেরই জানা। তবে আজকের তরুণ প্রজন্মের কাছেও কি এ সব ভেষজ ওষুধের গুরুত্ব আছে? জীবনকে মধুময় করতে মধুর খাদ্য উপাদান কতটা গুরুত্বপূর্ণ জেনে নিন।
মধু শক্তি ও তাপ বাড়ায়
মধু শরীরের তাপ ও শক্তি জোগায়। বিশেষ করে শীতকালে মধু শরীরকে গরম রাখে। শীতকালে সকালে ও রাতে এক কাপ গরম পানিতে এক চামচ করে মধু মিশিয়ে খেলে শরীর গরম থাকবে। মধুতে থাকা শর্করা হজমের জন্যও বিশেষ উপকারী।
সুস্থ হার্টের জন্য চাই মধু
প্রতিদিন সকালে এক চামচ করে খাটি মধু খেলে হৃদপিণ্ড শক্তিশালী হয়৷ এছাড়া মধু নাকি আয়ুও বাড়ায়। এই পরামর্শ দিয়েছেন জার্মানির হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. বেরিট কখ।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি
মধুতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে কপার, মানে তামা, আয়রন ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। শুধু তাই নয়। যারা অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টে ভোগেন, তাদের জন্যও মধু বেশ উপকারী।
ক্ষত বা পোড়া স্থানে মধু
নিউজিল্যান্ডের ওয়াইকাটো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক পেটার মোলানের করা এক গবেষণায় জানা যায় যে, বেশ কিছু রোগের জীবাণু ধ্বংসে মধুর জুড়ি নেই। তাছাড়া পোড়া বা ক্ষতের জায়গায় খাটি মধু লাগালে অনেক উপকার হয়।
ঠান্ডায় মধু
কাশি বা ঠান্ডা লাগলে মধু মহাষৌধ হিসেবে কাজ করে – এ কথা মনে হয় কারো অজানা নয়। কুসুম কুসুম গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করলে শরীর ঝরঝরে হয়। তবে এটা কিছু দিন নয়, বেশ নিয়মিত করতে হবে। মধুতে ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ছাড়াও রয়েছে খনিজ পদার্থ, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়ামসহ অন্যান্য নানা প্রয়োজনীয় উপাদান।
ত্বকের সমস্যায় মধু
ত্বকের অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় অলিভ অয়েলের সাথে মধু মিশিয়ে লাগালে ত্বকের সমস্যা দূর হয়। এমনটা জানা গেছে এক সমীক্ষার ফলাফলে। তবে সেক্ষেত্রে মধু অবশ্যই খাঁটি হতে হবে।
সৌন্দর্যচর্চায় মধু
শুধু শরীর নয়, সৌন্দর্যচর্চাতেও রয়েছে মধুর বড় ভূমিকা। রাসায়নিক পদার্থের প্রসাধন সামগ্রীর পার্শপ্রতিক্রিয়া থেকে ত্বককে রক্ষা করতে নানা উপায়ে মধু ব্যবহার করা হয়। মধু ত্বককে উজ্জ্বল, কোমল ও মসৃণ করে। রূপচর্চায় মধু সাধারণত ‘ফেসমাস্ক’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে মধু তৈলাক্ত ত্বকের চাইতে শুষ্ক ও স্বাভাবিক ত্বকের জন্য বেশি উপকারী।
ওজন কমাতে মধু
মধুতে কোনো ধরনের চর্বি নেই৷ তাছাড়া মধু পেট পরিষ্কার রাখে এবং শরীরের ফ্যাট কমাতেও সাহায্য করে৷ ফলে ওজন কমে। অনেকেই তাই গরম পানিতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে পান করেন।
মধুতে চর্বি নেই, কাজেই তা ওজন বাড়ায় না। রাতে গরম দুধে কয়েক ফোটা মধু মিশিয়ে খেলে ভালো ঘুম হয় আর ঘুমের মধ্য দিয়েও যে ওজন কমানো সম্ভব, সেকথা তো বিশেষজ্ঞরাও বলেছেন।
মাড়ির ইনফেকশনে
মাড়ির ব্যথায় মুখ কুলকুচি করার জন্য মধু মিশ্রিত পানি বা ‘মাউথওয়াশ’ ব্যবহার করলে মাড়ির ব্যথা কমে। এই তথ্যটি জানা গেছে ব্রাজিলের সাও পাওলোতে করা এক গবেষণার ফলাফল থেকে।
সুস্থ থাকতে মধু
যার কোনো সমস্যা নেই বা যিনি অসুস্থ নন, তারা সকলেই নিয়মিত চিনির বদলে মধু খেতে পারেন বা প্রতিদিন সকালে এক চামচ খাটি মধু খেতে পারেন। এক্ষেত্রে বলা যেতে পারে ‘প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম’।
অর্থাৎ মধুর নানা গুণের কারণে নিয়মিত মধুর ব্যবহার অসুখ-বিসুখকে এমনিতেই দূরে রাখবে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিজ্ঞানীরা বলছেন, মধু হচ্ছে প্রায় সব ধরনের রোগের মহাওষুধ, যা সব ধরনের রোগের জন্য ব্যবহার করা যায়। এমনকি মধু মিষ্টি হলেও ডায়বেটিস রোগীরা এটিকে ওষুধ হিসেবে নির্দিষ্ট পরিমাণ খেতে পারেন।
উচ্চ ঔষধি গুণ সম্পন্ন তরল ‘মধুর’ নানা গুণের কথা প্রায় সকলেরই জানা। তবে আজকের তরুণ প্রজন্মের কাছেও কি এ সব ভেষজ ওষুধের গুরুত্ব আছে? জীবনকে মধুময় করতে মধুর খাদ্য উপাদান কতটা গুরুত্বপূর্ণ জেনে নিন।
মধু শক্তি ও তাপ বাড়ায়
মধু শরীরের তাপ ও শক্তি জোগায়। বিশেষ করে শীতকালে মধু শরীরকে গরম রাখে। শীতকালে সকালে ও রাতে এক কাপ গরম পানিতে এক চামচ করে মধু মিশিয়ে খেলে শরীর গরম থাকবে। মধুতে থাকা শর্করা হজমের জন্যও বিশেষ উপকারী।
সুস্থ হার্টের জন্য চাই মধু
প্রতিদিন সকালে এক চামচ করে খাটি মধু খেলে হৃদপিণ্ড শক্তিশালী হয়৷ এছাড়া মধু নাকি আয়ুও বাড়ায়। এই পরামর্শ দিয়েছেন জার্মানির হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. বেরিট কখ।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি
মধুতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে কপার, মানে তামা, আয়রন ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। শুধু তাই নয়। যারা অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টে ভোগেন, তাদের জন্যও মধু বেশ উপকারী।
ক্ষত বা পোড়া স্থানে মধু
নিউজিল্যান্ডের ওয়াইকাটো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক পেটার মোলানের করা এক গবেষণায় জানা যায় যে, বেশ কিছু রোগের জীবাণু ধ্বংসে মধুর জুড়ি নেই। তাছাড়া পোড়া বা ক্ষতের জায়গায় খাটি মধু লাগালে অনেক উপকার হয়।
ঠান্ডায় মধু
কাশি বা ঠান্ডা লাগলে মধু মহাষৌধ হিসেবে কাজ করে – এ কথা মনে হয় কারো অজানা নয়। কুসুম কুসুম গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করলে শরীর ঝরঝরে হয়। তবে এটা কিছু দিন নয়, বেশ নিয়মিত করতে হবে। মধুতে ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ছাড়াও রয়েছে খনিজ পদার্থ, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়ামসহ অন্যান্য নানা প্রয়োজনীয় উপাদান।
ত্বকের সমস্যায় মধু
ত্বকের অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় অলিভ অয়েলের সাথে মধু মিশিয়ে লাগালে ত্বকের সমস্যা দূর হয়। এমনটা জানা গেছে এক সমীক্ষার ফলাফলে। তবে সেক্ষেত্রে মধু অবশ্যই খাঁটি হতে হবে।
সৌন্দর্যচর্চায় মধু
শুধু শরীর নয়, সৌন্দর্যচর্চাতেও রয়েছে মধুর বড় ভূমিকা। রাসায়নিক পদার্থের প্রসাধন সামগ্রীর পার্শপ্রতিক্রিয়া থেকে ত্বককে রক্ষা করতে নানা উপায়ে মধু ব্যবহার করা হয়। মধু ত্বককে উজ্জ্বল, কোমল ও মসৃণ করে। রূপচর্চায় মধু সাধারণত ‘ফেসমাস্ক’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে মধু তৈলাক্ত ত্বকের চাইতে শুষ্ক ও স্বাভাবিক ত্বকের জন্য বেশি উপকারী।
ওজন কমাতে মধু
মধুতে কোনো ধরনের চর্বি নেই৷ তাছাড়া মধু পেট পরিষ্কার রাখে এবং শরীরের ফ্যাট কমাতেও সাহায্য করে৷ ফলে ওজন কমে। অনেকেই তাই গরম পানিতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে পান করেন।
মধুতে চর্বি নেই, কাজেই তা ওজন বাড়ায় না। রাতে গরম দুধে কয়েক ফোটা মধু মিশিয়ে খেলে ভালো ঘুম হয় আর ঘুমের মধ্য দিয়েও যে ওজন কমানো সম্ভব, সেকথা তো বিশেষজ্ঞরাও বলেছেন।
মাড়ির ইনফেকশনে
মাড়ির ব্যথায় মুখ কুলকুচি করার জন্য মধু মিশ্রিত পানি বা ‘মাউথওয়াশ’ ব্যবহার করলে মাড়ির ব্যথা কমে। এই তথ্যটি জানা গেছে ব্রাজিলের সাও পাওলোতে করা এক গবেষণার ফলাফল থেকে।
সুস্থ থাকতে মধু
যার কোনো সমস্যা নেই বা যিনি অসুস্থ নন, তারা সকলেই নিয়মিত চিনির বদলে মধু খেতে পারেন বা প্রতিদিন সকালে এক চামচ খাটি মধু খেতে পারেন। এক্ষেত্রে বলা যেতে পারে ‘প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম’।
অর্থাৎ মধুর নানা গুণের কারণে নিয়মিত মধুর ব্যবহার অসুখ-বিসুখকে এমনিতেই দূরে রাখবে।