লেখকঃনাজিম শাহরিয়ার
{শেষ ঠিকানারযাত্রি}
আমার নাম আবির..নতুন বিবাহিতা স্ত্রীর নাম পরী আমাদের বিয়ে হয়েছে পারিবারিক ভাবে। ৫মাস আগে আমি পরীকে দেখতে গিয়েছিলাম,দেখে আসার ঘন্টা খানেক পর ওদের বাসায় জানানো হয়েছিলো পরী কে আমার পছন্দ হয়েছে এবং তার কিছুক্ষণ পর পরী ফোন করে আমাকে জানালো সে এই বিয়ে চায় না। সে অন্য কাউকে ভালোবাসে। মানা করে দিতে বলল ওর বাসায়। আমিও ভাবলাম কি দরকার কাউকে জোর করে বিয়ে করার কিন্তু মানা করলাম না। তনু বেসম্ভব সুন্দরী একটা মেয়ে।শ্যামলা বর্ণের কোমড় পর্যন্ত বড় চুল আরমায়াবী চোখ আমাকে বেশ আকর্ষণ করেছিলো।
পরী আমাকে অনেক বার বলেছিলো সে পালায়া যাবে আমি যদি তাকে বিয়ে করতে চাই তবুও আমি মানা করি নাই।বিয়ের দিনতারিখ ঠিক হলো।এদিকে পরী তার প্রেমিকের সাথে পালানোর প্ল্যান করতে থাকে। বিয়ের দিন ঠিক করা হয় ২৭ ই আগস্ট ..পরী ঠিক করে সে গায়ে হলুদের আগের দিন পালায়া যাবে। প্ল্যান অনুযায়ী পরী ঠিক ই সেদিন পালিয়ে যায়। কিন্তু তারপ্রেমিক আসে না। ফোন ও বন্ধ করে রাখে।
দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর সেতার প্রেমিকের বাসায় যায়। বাসায় গিয়েশুনে সে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে। অর্থাৎতনুকে ছ্যাকা দিয়ে চলে গেছে। ততক্ষণে পরীরবাড়িতে সবাই বুঝে গেছে পরী পালিয়েছে।যাই হোক রাত ১০ টায় পরী আমাকে ফোন করলো। কাদো কাদো গলায় বলল আমি তাকে গাবতলী নিতে আসতে পারবো কিনা।আমি খুব অবাক হয়ে গেলাম ..কাল বাদে পরশু বিয়ে আজ পরী এত রাতে বাইরে কি করছে?আমি আশ পাশের মানুষ দেখে তাকে বললাম"হুম আসছি।"যত দ্রুত সম্ভব আমি গাবতলী গিয়ে ওকেফোন করলাম। সে অন্য একজনের নাম্বারথেকে কল করেছিলো। নিজের ফোন সেবাসাতেই ফেলে আসছে পালানোর উদ্দেশ্য পরী কে দেখেই বুঝলাম something wrong,,,,,পরী আমাকে দেখে কান্না শুরু করলো। সেআমাকে সব বলল।বলার পর সে রিকুয়েস্ট করলো তার মত ঘর পালানো মেয়ে যেন বিয়ে না করি। আর সে আর তার বাসায় ফিরে যেতে পারবে না।
আমি তাকে পানির বোতল হাতে দিয়ে বললাম"পানি দিয়ে মুখ হাত ধুয়ে নেও তারপর গাড়িতে উঠো।"পরী গাড়িতে উঠে বলল - "আমরা কই যাচ্ছি? পরীর বাসা থেকে ইতোমধ্যে আমাকে কল করা হচ্ছে। হয়তো পরী পালিয়ে গেছে এটা জানানোর জন্যই কল করছে।আমি পরী কে নিয়ে সোজা ওর বাসায় গেলাম।ঘড়িতে তখন ১২.২৭ বাজে।বাড়ির সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে সাথে পরীর দিকেও। পরী যেতে চাচ্ছিলো না বাসায়।
একপ্রকার জোর করেই ধরে নিয়েগেলাম।পরীর বাবা আমার কাছে এসে জিজ্ঞেসকরলো।-পরী তোমার সাথে কিভাবে?- জ্বী আসলে আমার ই দোষ। আমি পরীকে নিয়েএকটু বাইরে ঘুরতে চেয়েছিলাম ,কিন্তু গাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আমরা আটকে গিয়েছিলাম।আপনি ফোন দিচ্ছিলেন কিন্তু আমার ফোন ধরতে ভয় করছিলো তাই সামনা সামনি মাফ চাইতে এসেছি।
-আরে না বাবা কি বলো। ঠিক আছে। সমস্যা নাই। অনেক রাত হয়েছে। খেয়ে যাও।
- না আঙ্কেল কাল গায়ে হলুদ ,আজ বাসায় অনেক কাজ। বাসায় যাই।আমি আসার সময় পরীর দিকে বারবার তাকাচ্ছিলাম,
মেয়েটা এক নজরে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো। হয়ত আমাকে খুব বোকা ভাবছে অথবা আমাকে নিয়ে সে খুব বেশি কনফিউজ ...
আজ বিয়ে হয়েছে..পরীর আমার বাড়িতে প্রথম রাত।পরী হয়ত তার অতীত ভোলার চেষ্টা করছে।সিগারেট এর আগুন ধরিয়ে যদি সে মনে করে ভুলতে পারবে তাহলে তাই করুক।আমার পরী কে বিয়েতে মানা না করার পিছনে অগাধ বিশ্বাস ছিল পরীর আমার বৌ হবে।
দুই হাতে মেহেদী সহ বৌ এর সাজে মেয়ে টার হাতে জ্বলন্ত সিগারেট।দেখতে খুবই উইয়ার্ড দেখা যাচ্ছে। বারান্দায়একা বসে সে সিগারেট খাচ্ছে। আজই বিয়ে হয়েছে।ভদ্রমহিলা আমার নব বিবাহিতা স্ত্রী।আজ আমাদের বিয়ে হয়েছে। কিছুক্ষন আগে সে বাসর ঘরে তার সাথে কথা বলতে চাওয়ায় সে প্রচন্ড টায়ার্ড এর কথা বলে ঘুমাতে যাবে বলে বেডের ঐ পাশে টুপ করে শুয়ে পড়ামেয়েটা যখন বুঝতে পেরেছে আমি ঘুমিয়ে গেছি তখন সে উঠে বারান্দার দরজা দিয়ে সিগারেট খাচ্ছে।
আচ্ছা বলে রাখা ভালোসিগারেট টা সে আমার টেবিল এ রাখা সিগারেট এর প্যাকেট থেকে নিয়েছে। আমি সাথে সাথে রিয়েক্ট করতে পারতাম..কিন্তু এতে বাসার বাকী সবাই জেগে যাইত।অযথা তাদের গল্পের একটা টপিক নতুন স্ত্রীকে করতে চাইলাম না। তাই এমন একটা অবস্থায় দেখে না দেখার ভান ধরে দাড়িয়ে রইলাম।
আমার আজ আবার অগাধ বিশ্বাস পরী একদিন সব ভুলে আমার সাথে নতুন একটা সম্পর্ক তৈরীকরবে।আমি তাকে বিশ্বাস করি কারণ সে চাইলেই আমাকে এক বস্তা মিথ্যা বলতে পারত কিন্তু সে সত্য বলেছে।তাই অপেক্ষা করবো ওর নিজ থেকে সংসারে মন আসার্।
সে আমার স্ত্রী ..তার ইজ্জত রাখা আমার দায়িত্ব, আমি না করলে কে করবে? ভুলতো সবাই কম বেশি করে। ঐ টাতে যদি সংশোধন না করে আরো ভুল বাড়িয়ে দেওয়ার কাজ করা হয় তাহলে কি আর চলে?ইন শা আল্লাহ হয়ত একদিন এই পরী আমাকে তার প্রেমিকের চেয়ে বেশি ভালোবাসবে।
{শেষ ঠিকানারযাত্রি}
আমার নাম আবির..নতুন বিবাহিতা স্ত্রীর নাম পরী আমাদের বিয়ে হয়েছে পারিবারিক ভাবে। ৫মাস আগে আমি পরীকে দেখতে গিয়েছিলাম,দেখে আসার ঘন্টা খানেক পর ওদের বাসায় জানানো হয়েছিলো পরী কে আমার পছন্দ হয়েছে এবং তার কিছুক্ষণ পর পরী ফোন করে আমাকে জানালো সে এই বিয়ে চায় না। সে অন্য কাউকে ভালোবাসে। মানা করে দিতে বলল ওর বাসায়। আমিও ভাবলাম কি দরকার কাউকে জোর করে বিয়ে করার কিন্তু মানা করলাম না। তনু বেসম্ভব সুন্দরী একটা মেয়ে।শ্যামলা বর্ণের কোমড় পর্যন্ত বড় চুল আরমায়াবী চোখ আমাকে বেশ আকর্ষণ করেছিলো।
পরী আমাকে অনেক বার বলেছিলো সে পালায়া যাবে আমি যদি তাকে বিয়ে করতে চাই তবুও আমি মানা করি নাই।বিয়ের দিনতারিখ ঠিক হলো।এদিকে পরী তার প্রেমিকের সাথে পালানোর প্ল্যান করতে থাকে। বিয়ের দিন ঠিক করা হয় ২৭ ই আগস্ট ..পরী ঠিক করে সে গায়ে হলুদের আগের দিন পালায়া যাবে। প্ল্যান অনুযায়ী পরী ঠিক ই সেদিন পালিয়ে যায়। কিন্তু তারপ্রেমিক আসে না। ফোন ও বন্ধ করে রাখে।
দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর সেতার প্রেমিকের বাসায় যায়। বাসায় গিয়েশুনে সে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে। অর্থাৎতনুকে ছ্যাকা দিয়ে চলে গেছে। ততক্ষণে পরীরবাড়িতে সবাই বুঝে গেছে পরী পালিয়েছে।যাই হোক রাত ১০ টায় পরী আমাকে ফোন করলো। কাদো কাদো গলায় বলল আমি তাকে গাবতলী নিতে আসতে পারবো কিনা।আমি খুব অবাক হয়ে গেলাম ..কাল বাদে পরশু বিয়ে আজ পরী এত রাতে বাইরে কি করছে?আমি আশ পাশের মানুষ দেখে তাকে বললাম"হুম আসছি।"যত দ্রুত সম্ভব আমি গাবতলী গিয়ে ওকেফোন করলাম। সে অন্য একজনের নাম্বারথেকে কল করেছিলো। নিজের ফোন সেবাসাতেই ফেলে আসছে পালানোর উদ্দেশ্য পরী কে দেখেই বুঝলাম something wrong,,,,,পরী আমাকে দেখে কান্না শুরু করলো। সেআমাকে সব বলল।বলার পর সে রিকুয়েস্ট করলো তার মত ঘর পালানো মেয়ে যেন বিয়ে না করি। আর সে আর তার বাসায় ফিরে যেতে পারবে না।
আমি তাকে পানির বোতল হাতে দিয়ে বললাম"পানি দিয়ে মুখ হাত ধুয়ে নেও তারপর গাড়িতে উঠো।"পরী গাড়িতে উঠে বলল - "আমরা কই যাচ্ছি? পরীর বাসা থেকে ইতোমধ্যে আমাকে কল করা হচ্ছে। হয়তো পরী পালিয়ে গেছে এটা জানানোর জন্যই কল করছে।আমি পরী কে নিয়ে সোজা ওর বাসায় গেলাম।ঘড়িতে তখন ১২.২৭ বাজে।বাড়ির সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে সাথে পরীর দিকেও। পরী যেতে চাচ্ছিলো না বাসায়।
একপ্রকার জোর করেই ধরে নিয়েগেলাম।পরীর বাবা আমার কাছে এসে জিজ্ঞেসকরলো।-পরী তোমার সাথে কিভাবে?- জ্বী আসলে আমার ই দোষ। আমি পরীকে নিয়েএকটু বাইরে ঘুরতে চেয়েছিলাম ,কিন্তু গাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আমরা আটকে গিয়েছিলাম।আপনি ফোন দিচ্ছিলেন কিন্তু আমার ফোন ধরতে ভয় করছিলো তাই সামনা সামনি মাফ চাইতে এসেছি।
-আরে না বাবা কি বলো। ঠিক আছে। সমস্যা নাই। অনেক রাত হয়েছে। খেয়ে যাও।
- না আঙ্কেল কাল গায়ে হলুদ ,আজ বাসায় অনেক কাজ। বাসায় যাই।আমি আসার সময় পরীর দিকে বারবার তাকাচ্ছিলাম,
মেয়েটা এক নজরে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো। হয়ত আমাকে খুব বোকা ভাবছে অথবা আমাকে নিয়ে সে খুব বেশি কনফিউজ ...
আজ বিয়ে হয়েছে..পরীর আমার বাড়িতে প্রথম রাত।পরী হয়ত তার অতীত ভোলার চেষ্টা করছে।সিগারেট এর আগুন ধরিয়ে যদি সে মনে করে ভুলতে পারবে তাহলে তাই করুক।আমার পরী কে বিয়েতে মানা না করার পিছনে অগাধ বিশ্বাস ছিল পরীর আমার বৌ হবে।
দুই হাতে মেহেদী সহ বৌ এর সাজে মেয়ে টার হাতে জ্বলন্ত সিগারেট।দেখতে খুবই উইয়ার্ড দেখা যাচ্ছে। বারান্দায়একা বসে সে সিগারেট খাচ্ছে। আজই বিয়ে হয়েছে।ভদ্রমহিলা আমার নব বিবাহিতা স্ত্রী।আজ আমাদের বিয়ে হয়েছে। কিছুক্ষন আগে সে বাসর ঘরে তার সাথে কথা বলতে চাওয়ায় সে প্রচন্ড টায়ার্ড এর কথা বলে ঘুমাতে যাবে বলে বেডের ঐ পাশে টুপ করে শুয়ে পড়ামেয়েটা যখন বুঝতে পেরেছে আমি ঘুমিয়ে গেছি তখন সে উঠে বারান্দার দরজা দিয়ে সিগারেট খাচ্ছে।
আচ্ছা বলে রাখা ভালোসিগারেট টা সে আমার টেবিল এ রাখা সিগারেট এর প্যাকেট থেকে নিয়েছে। আমি সাথে সাথে রিয়েক্ট করতে পারতাম..কিন্তু এতে বাসার বাকী সবাই জেগে যাইত।অযথা তাদের গল্পের একটা টপিক নতুন স্ত্রীকে করতে চাইলাম না। তাই এমন একটা অবস্থায় দেখে না দেখার ভান ধরে দাড়িয়ে রইলাম।
আমার আজ আবার অগাধ বিশ্বাস পরী একদিন সব ভুলে আমার সাথে নতুন একটা সম্পর্ক তৈরীকরবে।আমি তাকে বিশ্বাস করি কারণ সে চাইলেই আমাকে এক বস্তা মিথ্যা বলতে পারত কিন্তু সে সত্য বলেছে।তাই অপেক্ষা করবো ওর নিজ থেকে সংসারে মন আসার্।
সে আমার স্ত্রী ..তার ইজ্জত রাখা আমার দায়িত্ব, আমি না করলে কে করবে? ভুলতো সবাই কম বেশি করে। ঐ টাতে যদি সংশোধন না করে আরো ভুল বাড়িয়ে দেওয়ার কাজ করা হয় তাহলে কি আর চলে?ইন শা আল্লাহ হয়ত একদিন এই পরী আমাকে তার প্রেমিকের চেয়ে বেশি ভালোবাসবে।